লুপ্তপ্রায়
আঞ্চলিক কথ্য ভাষার বেশিরভাগই অপভ্রংশ শব্দ যা মানুষের মুখে মুখে চলে
আসছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শব্দগুলি শব্দগুলি আঞ্চলিকতা দোষে দুষ্ট ।সেই
জন্য শব্দগুলির ব্যাকরণ গত মানে খোঁজা বৃথা। পশ্চিম মেদিনীপুরের
বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষেরা শ্যাওলা কে "শ্রীলতা" বলে থাকে ।নদীয়া এবং
বাংলাদেশ সন্নিহিত অঞ্চলের মানুষের মুখের ভাষা "আড়ো মারা" যার অর্থ ছুঁড়ে
দেওয়া ।এছাড়া আর একটি শব্দ "গড়ান" যার অর্থ হলো ঢালু। এর আগের একটি
পোস্টে বলেছিলাম যে আসলে শব্দগুলো যেভাবে উচ্চারিত হয় সেটা ঠিক ভাষায়
প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এবং ভাষা দ্বারা প্রকাশ করলে পরে তার ঠিক মাধুর্যতা
বোঝা যায় না। তাই পরবর্তীকালে আস্তে আস্তে চেষ্টা করব শব্দ গুলি কি ভাবে
ভাবে উচ্চারিত হয় তার ভিডিও বা অডিও পোস্ট করার। আমি তখন পুরুলিয়াতে বিএড করছি ।বেশ কিছু নতুন বন্ধু জুটেছিল সাথে সাথে
নতুন নতুন অনেক শব্দ বা ভাষাও শিখেছিলাম ।যদিও তার বেশিরভাগই আজ মনে নেই
।তবুও একটা শব্দ বা বলতে পারেন বিষয় যা আজও দাগ কেটে রয়েছে তা হল,
পারিবারিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নদীয়া বা এই সমস্ত অঞ্চল গুলোতে আমরা দাদার
শালিকে বেয়ান বলে বলে জানি কিন্তু ওইখানে বন্ধুদের মুখে শুনেছিলাম দাদার
শালী মানে সব ভাইদের ও শালী ।আরো একটি শব্দ যেটা অনেকটা অশ্লীল বলে মনে হতে
পারে "ননু" এর অর্থ হল ছোট বাচ্চা যা আবার মেদিনীপুরে "কচি ছানা" নামে
পরিচিত। ননুটা মানভূম অঞ্চলের মানুষের কাছে ঠিকভাবে উচ্চারিত হলেও অন্য
যারা এটা বলে থাকে তারা এটাকে নুনু বলে থাকে বলে থাকে যেটা অশ্লীল বলে
পরিচিত। এই বিষয়ে একটা আঞ্চলিক লোকসংগীত রয়েছে যেটা এমন---- 'ঘুমাতে দে
না টুকু না করিস পরিসান, আর অন্যদিকে ফিমেল কন্ঠে ননুর বাপ গো ননুর বাপ গো
ওঠ চাড়ে কুটতে হবে ধান।"
0 Comments