বর্তমানে যান্ত্রিক মুড়ি ভাজা পদ্ধতি এসে হাতে ভাজা মুড়ি
চলার সেরকমভাবে নেই বললেই চলে। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন গ্রামের মানুষের
কাছে মুড়ি ভাজা ছিলো একরকম উৎসবের মতো। কোন উৎসব অনুষ্ঠান বা পার্বণে
মুড়ি ভাজা হত। অনেক ক্ষেত্রে কোন একটা জায়গায় একসঙ্গে অনেক মহিলা
একত্রিত হয়ে তারা নিজেদের মুড়ি ভাজতো । নদীয়া বা বাংলাদেশ সন্নিহিত
অঞ্চলগুলিতে এই মুড়ি ভাজার জন্য মাটির তৈরি কিছু জিনিসপত্র ব্যবহার করা
হতো ,যেগুলো আজ লুপ্তপ্রায় ।যেগুলির আঞ্চলিক ভাষায় নাম ও বিভিন্ন রকমের
রয়েছে । সেগুলি এরপর থেকে পর পর পোস্ট করার চেষ্টা করব এবং সাথে সাথে
সেগুলি দিয়ে কি করা হতো সেগুলো আলোচনা করব। আমাদের ছোটবেলায় দেখেছি
শুধুমাত্র উৎসব-অনুষ্ঠান গুলিতেই মুড়ি ভাজা হত কিন্তু মেদিনীপুরে এসে
দেখছি এখানে মানুষের অন্যতম টিফিন হচ্ছে মুড়ি ও চপ ..এই মুড়ি ভাজার যে সমস্ত যন্ত্রপাতি লাগতো তার মধ্যে
আজ যেটা পোস্ট করছি সেটা হলো "ঝাঁঝোর"। যদিও শব্দটি লিখছি যে রকম ভাবে এর
উচ্চারণ ভঙ্গিমা কিন্তু এর থেকে অনেকটাই আলাদা। এটিকে মুড়ির সঙ্গে যে বলি
থাকতো তা বের করার কাজে ব্যবহার করা হয়। এর নিচে অসংখ্য ছিদ্র থাকার কারনে
বালি গুলি পড়ে যেত এবং মুড়ি গুলি থেকে যেত।
0 Comments