শীতকাল মানেই বাঙ্গালীদের কাছে পিঠে পুলির সময় । এই সময়ে বাঙালিরা বিভিন্ন রকমের পিঠে তৈরি করে থাকে। পিঠের যেমন রকম বিভিন্ন রয়েছে তেমনি নামও রয়েছে বিভিন্ন। অঞ্চল বিশেষে এর নাম যেমন আলাদা তেমনি রকম ও আলাদা হয় । আবার অনেক ক্ষেত্রে একই রকম ও নামের পিঠে বিভিন্ন অঞ্চলে হয়ে থাকে । শীতকালে পিঠে হওয়ার কারণ বোধহয় একদিন তৈরি করে বেশ কয়েকদিন খাওয়া যায়। তাছাড়াও এই সময়ে পিঠে তৈরির যে মূল উপকরণ খেজুর গুড় বা খেজুর রস এই সময়ে পাওয়া যায়। আর এই খেজুর রসের তৈরি পিঠে তার স্বাদই আলাদা। যদিও বর্তমানে সেই রকম ভাবে আর খেজুর গাছ কাটা বা খেজুর গাছ থেকে রস বের করা অনেক কমে গেছে। আমাদের ছোটবেলায় দেখেছি কোন খেজুর গাছ পড়ে থাকত না শীতকালে সমস্ত খেজুর গাছ গুলোতে রস বের করার চেষ্টা করা হতো। কিন্তু বর্তমানে দেখি প্রচুর খেজুর গাছ এমনিতেই পড়ে আছে কাটার কোন লোক নেই এর কারণ ও বোধহয় বর্তমানের নতুন কোন ব্যক্তি এই পেশায় আসার চেষ্টা করছে না । পিঠে তৈরির জন্য পূর্ববঙ্গ বা তৎসন্নিহিত অঞ্চলগুলিতে মূলত মাটির তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহার করা হতো আজ যেটি পোস্ট করছি এটি আমাদের অঞ্চলে "ছাঁচ" নামে পরিচিত । চালের গুঁড়ো গুলে গোলা তৈরি করা হতো এবং সেই গোলা এই ছাঁচের মধ্যে দিয়ে এর ওপরে "সরা" দিয়ে ঢেকে দেওয়া হতো এবং একটা নির্দিষ্ট সময় পরে পিঠে তৈরি হতো, নির্দিষ্ট সময় পর তুলে নেওয়া হত। যেগুলো পিঠে হত সে গুলোকে আমরা "কাঁচি পোড়া" বলে জেনে এসেছি। এবং ওই পিঠে গুলি যখন খেজুর রসের মধ্যে ভেজানো হত সে গুলোকে "ভেজা পিঠে" হিসেবেই জেনে এসেছি ।
0 Comments