"সাজে
পিদদুম নড়েচড়ে ডান যুগনির মুখ পোড়ে, শত্তুর গনের মুখ পোড়ে"। গোধূলি
শেষে সাঝের অন্ধকারের সূচনা একটা সময় এই শব্দ গুলির মধ্যে দিয়েই হত। এখনো
মনে পড়ে কি অপরূপ মূর্ছনা এই শব্দ গুলির মধ্যে খুঁজে পেতাম । তাইতো
যেখানেই খেলাধুলা করতাম না কেন সন্ধ্যা প্রদীপ দেয়ার আগেই বাড়ি পৌছে
যেতাম । এবং মা যখন তুলসী তলা থেকে প্রদীপ নিয়ে উঠে দাঁড়াতো তখনই তার
সামনে হাজির হতাম এবং বলতাম মা সেই কথাটা বলো না। মা মাটির প্রদীপ টি
কপালের চারিপাশে
ঘোরাতো আর সাথে সাথে এই শব্দগুলি
উচ্চারণ করতো ।। নিজেকে তখন ভীষণ ভাগ্যবান মনে হতো । বর্তমানে
যান্ত্রিকতায় সে সমস্ত আজ অতীত হয়ে পড়েছে। তবুও মনে পড়ে ,বেশ বড় হয়েও
দু একবার মায়ের কাছে বায়না করেছি এবং মা হাসিমুখেই সেই বায়না মেটাতে
পুরনো সেই সুরে নতুন করে আবার শুনিয়েছে। ডান যুগ্নি এটা যে কি তা তখনো
জানতাম না তবে ভাবতাম যেটাই হোক না কেন খারাপ যে কোন কিছু তাকে দূর করে
দেয়ার জন্যই মা এটা বলছে ।সাথে সাথে শত্তুরগনের মুখ পোড়ে। এ শব্দের মধ্যে
দিয়েও বুঝতে পারতাম অমঙ্গলময় কে দুরে রাখার প্রচেষ্টা এই শব্দগুলো দিয়ে
করার চেষ্টা হয় । সাজে পিদদুম -সন্ধ্যা প্রদীপ।
0 Comments