জনবিস্ফোরণ এর পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে
জলাশয়ের সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। খাল, বিল নদী- নালা ,পুকুর ডোবা সবই
বর্তমানে মজে এসেছে । তাইতো আজ আর আগের মত দেশি মাছের রমরমা দেখা যায় না ।
দেশি অর্থাৎ পুটি, খোলসে , ল্যাটা মাছ,ওকোল, জিওল বোয়াল দেশী কাঁকড়া,
পাকাল ইত্যাদি ।আধুনিক সভ্যতার করাল গ্রাসে গ্রাসে শেষ হয়ে যেতে বসেছে এই
সমস্ত মাছ তথা মাছ গুলির বাসস্থানও আজ বিলুপ্তির পথে। আজ যে শব্দটির চর্চা
করছি সেটা হচ্ছে "আপা"। প্রচলিত অর্থে আপা বলতে আমরা ডোবা বুঝি। কিন্তু
প্রকৃত অর্থে আমরা আপা বলতে ছোট বেলা থেকে জেনে এসেছি বিলের মধ্যে ডোবা।যা
মাছ সংগ্রহের জন্য খনন করা হতো।মাছ ঢোকার জন্যে তিন বা চারটি পথ বের করা
থাকত। বর্ষাকাল জুড়ে মাছ এগুলিতে ঢুকত।মাছ ঢোকার পর
এই মুখ বা পথ গুলি বেঁধে দেওয়া হত এবং জল কমে গেলে পরে এগুলো "ছেঁচে" মাছ
গুলি ধরে নেওয়া হতো। আগে এই বিলগুলোতে সারা বছরই জল থাকতো স্বাভাবিক কারনে
এই মাছ সরবরাহের কোন কমতি দেখা যেত না। কিন্তু বর্তমানে বিলগুলি পলি পড়ে
মজে এসেছে, সাথে সাথে মানুষের চিন্তা ভাবনার ক্ষেত্রে পরিবর্তন ঘটেছে এবং
মানুষ বিলের মধ্যে আধুনিক উপায়ে জমি উদ্ধার করে চাষ বাস করছে ।তার সূত্র
ধরে বর্তমানে বিভিন্ন ভেড়ি উদয় হয়েছে যেগুলিতে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে মাছ
চাষ করা হয় এবং সাথে সাথে অন্যান্য সবজি ও ফলের চাষ করা হয়।তাই "আপা"
শব্দটি বর্তমানে লুপ্তপ্রায়।অপার ছবি আমার সংগ্রহে নেই ইন্টারনেটেও সেরকম পেলাম না.
0 Comments