কুড়া


আদিম কাল থেকেই মানুষের জীবনযাপনের সঙ্গে বাঁশ ওতপ্রোতভাবে জড়িত ।প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ গৃহনির্মাণ ও গৃহস্থালির বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরিতে এর ব্যবহার করে আসছে। বর্তমানের ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার কমে গেলও শেষ হয়ে যায়নি । বাঁশঝাড় নদীর ধারের গ্রামগুলোকে এক আলাদা সাহিত্যিক মাত্রায় পৌঁছে দেয় ।এই বাসের বংশবৃদ্ধির জন্য ফুল বা ফল হয়ে গাছ হওয়া নয় একটা বাসের পাশ থেকেই নতুন বাঁশ গাছের তৈরি হয় ।এই ছোট চারা বাঁশ  গুলোকে আমরা "কুড়া" হিসেবে জেনে এসেছি।

আলোকিত বাংলাদেশ  প্রকাশিত একটি খবর

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির কাছে সবজি হিসেবে বাঁশ কোড়লের কদর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাঁশের চারা গজানোর পর চারাগুলো তুলে নিয়ে ওপরের শক্ত আবরণ ফেলে দিয়ে যে নরম অংশ পাওয়া যায়, এরই নাম বাঁশ কোড়ল।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মেহমান আপ্যায়নের পাশাপাশি দৈনন্দিন খাবার তালিকায় সবজি হিসেবে থাকছে বাঁশ কোড়ল। প্রতি কেজি বাঁশ কোড়ল ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে পাওয়া যায়। ভাজি ছাড়াও মাছ ও মাংসে মিশিয়ে রান্না করা বাঁশ কোড়ল সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে পাহাড়ি এলাকায়।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিগুলোর পরিবারের পাশাপাশি বাঙ্গলিরাও সবজি হিসেবে বাঁশ কোড়ল ব্যবহার করছেন। ফলে এর চাহিদা দিনে দিনে বাঢ়ছে।
এলাকাবাসী জানায়, রাঙ্গামাটি জেলার বনরূপা, তবলছড়ি, কলেজগেইট বাজারে বিক্রেতারা থুরং ভর্তি করে বাঁশ কোড়ল বাজারে এনে বিক্রি করেন। বিক্রির অর্থ দিয়ে তারা চাল ও ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করেন।

 
আলোকিত বাংলাদেশ  প্রকাশিত একটি খবর থেকে সংগৃহিত

Post a Comment

0 Comments