গ্রাম
বাংলার একটি প্রাচীন ঐতিহ্য
হলো মনসা পূজা. মূলত
সামাজিক ও আর্থিক দিক
দিয়ে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মধ্যে
এই মনসা পূজার জনপ্রিয়তা
তুঙ্গে. বর্তমানে যদিও এই মনসা
পূজা শুধু পূজা কেন্দ্রিক
অনুষ্ঠান এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ
হয়ে পড়েছে কিন্তু আগেকার দিনে দেখা যেত
এই মনসা পূজো উপলক্ষে
বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন
করা হতো. মনসা পূজার
উপলক্ষে ভাসান গান, ঝাপান গান
সাপের খেলা দেখানো, মন্ত্র
প্রতিযোগিতা বিভিন্ন অনুষ্ঠান হতো .যে সমস্ত
গান গুলি হত সেগুলি
মূলত মনসার মর্তে পূজা পাবার নিমিত্ত
বিভিন্ন কার্যকলাপ বর্ণিত হত .বিভিন্ন বিখ্যাত
সাহিত্যিকগণ এ মনসামঙ্গল উপলক্ষে
কাব্য রচনা করেছেন গ্রাম
অঞ্চলে যে সমস্ত গান
গুলি হয় তা অনেকটা
এই মনসামঙ্গলের গান বটে .মনসামঙ্গল
কাব্য রচয়িতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছেন বিপ্রদাস পিপলাই কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ বিজয় গুপ্ত প্রভৃতি ব্যক্তিত্ব. ঝাপান গান; পালা গান
এখানে দুটো দল থাকে
একদল মনসা এবং
তার শাগরেদ অন্যদল চাঁদ
সদাগর ও তার শাগরেদ.
দুই দলের মধ্যে বিভিন্ন
রকম প্রতিযোগিতামূলক প্রশ্নোত্তর পর্বের মধ্যে দিয়ে পালা এগিয়ে
চলে শেষ
পর্যন্ত মনসার জয় গান
সূচিত হয় .মনসা পূজো
উপলক্ষে হওয়া গানগুলি গ্রাম্য মানুষজনের কাছে এক অন্য
মাত্রা বয়ে নিয়ে আসে
.আমার নিজস্ব অভিমত এই সময় মনসা
পূজো হওয়ার মূল কারণ এই
সময় মূলত বর্ষাকালে বিভিন্ন
রকম সাপের উপদ্রব দেখা দেয় আর
মনসা কে মনে করা
হয় সর্পদেবী তাই মনসার পূজো
করা হয় যাতে সাপের
হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া
যায়. আমাদের ছোটবেলায় দেখেছি গ্রাম আমাদের গ্রামে এই মনসা পূজো
উপলক্ষে একটা সাজো সাজো
রব থাকতো. প্রত্যেক গৃহস্থ বাড়িতেই মনসা পূজো করা
হয় মনসার প্রতিরূপ হিসাবে এখানে ঘটের ব্যবহার করা
হয় .এবং মনসা পূজোর
আয়োজন আর্থিক অসঙ্গতির কারণে যৎসামান্য আমাদের গ্রাম অঞ্চলে দেখেছি মূলত চিড়ে ভেজে
তাকে ঢেঁকিতে কোটা হত যার
নাম “ভূগোলি” .ভাজা চিড়ের ভূগোলি করা হতো আবার
কাঁচা চিড়েরও করা হতো .এবং
পূজার সময় দেখতাম এটা
নিবেদন করা হতো মনসা
প্রতিরূপ ঘটে.
বিশদ জানার জন্যে উইকিপেডিয়া পেজটি দেখে
নিতে পারেন অনেক তথ্য পাবেন.
মনসা-পুজার-তত্ত্ব-কথা
0 Comments