আমরা যারা সত্তর-আশির দশকে জন্মগ্রহণ করেছি তাদের ছেলেবেলা বর্তমানের আধুনিক জীবনযাপনের উপযোগী উপকরণ না থাকলেও বন্ধুত্ব ও খেলাধুলার একটা নিবিড় যোগ ছিল। মোবাইল, কম্পিউটার বা স্মার্ট টিভির রমরমা তখনও আসেনি। আমাদের ছোটবেলাতে আমরা সাদাকালো টিভি (হাতে গোনা) এবং রেডিও শুনেই কাটিয়েছি। তখন ইলেকট্রিসিটি এখনকার মতো অলিগলিতে ছিলনা বেশ অনেকটা পরেই আমরা ইলেক্ট্রিসিটি পেয়েছি। স্বাভাবিকভাবেই বন্ধুদের মধ্যে খেলাধুলার পরিবেশটা অনেকটাই বেশি ছিল। ছোটবেলায় বিভিন্ন রকম খেলা খেলেছি (তথাকথিত পরিচিত খেলা ভিন্ন)তার কিছু মনে আছে কিছু হয়তোবা স্মৃতি থেকে হারিয়ে গেছে। কিন্তু সেই খেলা গুলির বেশিরভাগ অংশ জুড়ে থাকতো প্রকৃতি। যেমন আমরা ছোটবেলায় একটা খেলা খেলতাম গাছের উপরে সবাই উঠবে নিচে একজন বুড়ি বসবে ঝাল ঝাল বলে লাফিয়ে পড়তে হতো ।এটাকে ঝাল দেয়া খেলা বলেই আমরা জানতাম ।আরেকটা খেলা যেটা বর্তমানে আর দেখা যায় না ।"পাতানি" এই খেলাটিতে একজনকে বুড়ি বসানো হতো আর কয়েকটি বৃত্তাকার দাগ মাটিতে টানা হত যাতে অন্যরা দাঁড়িয়ে থাকতো । কে বুড়ি বসবে তা নির্ধারণ করার জন্য হাত বাটা হত। যে বুড়ি বসত, সে বিভিন্ন রকম গাছের পাতা আনতে বলতো (ক্রমান্বয়ে) ।যে একদমে সেই পাতা নিয়ে আসতে পারতো সে আবার তার বৃত্তাকার ঘরটিতে দাঁড়িয়ে পড়তো ।আর যে পাতা আনতে গিয়ে দম ছেড়ে দিত তাকে যদি বুড়ী ছুঁয়ে দিত তবে তাকে(যে পাতা আনতে গিয়ে দম ছেড়েছে) বুড়ী বসতে হতো ।এভাবেই খেলা এগিয়ে চলত। শেষ পর্যন্ত কি যে হত সে আর আজ মনে পড়ে না ।এই খেলাটি কে আমরা "পাতানি" খেলা বলেই জানতাম ।এরই সূত্রে একটা গাছ ছোটবেলাতে খুবই পরিচিত ছিল যেটা বর্তমানে আর সেই রকম ভাবে দেখা যাচ্ছে না সেটি হচ্ছে "আমজাম" গাছ ।নিচে ছবি সহ পোস্ট করলাম ।এটা আঞ্চলিক ভাষা বিভিন্ন রকম জায়গায় বিভিন্ন রকম ভাবে এই গাছকে বলা হতেই পারে।
0 Comments