সুতো কাটার জন্য যেমন চরকার প্রয়োজন হতো ; তেমনি পাট থেকে দড়ি পাকানোর জন্য জন্য এই যন্ত্রটি ব্যবহার করা হতো করা হতো হতো ।এটি আমাদের
অঞ্চলে পাটটাকুর নামে পরিচিত ।কোথাও কোথাও আবার এটিকে শুধু টাকু
নামে বলা হয়। পাটের দড়ি পাকানোর জন্য পাটের আঁটিটি ওপরে কোন একটা (বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটি হত ঘরের আড়া) সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয় ।তারপর
সেখান থেকে একটা একটা করে পাটের আশ ছিঁড়ে নেওয়া হয় এবং সাথে সাথে
পাটটাকুর ঘোরানো( হাঁটুর উপরের অংশে পাঁক দিয়ে)হয় । এবং দড়ি তৈরি হতে
থাকে ।পরবর্তীকালে এই দড়ি কে কে প্রসেসিং করে বিভিন্ন রকমের দড়ি তৈরি
করা হয়। ছোটবেলায় বাবাকে দেখতাম এর থেকে দড়ি তৈরি করতে।
আবার দীর্ঘদিন পর যন্ত্রটিকে দেখতে পেলাম । শুধু তাই নয়
যন্ত্রটি যে খুব সাম্প্রতিক ব্যবহার হয়েছে সে বিষয়ের প্রমান পাওয়া গেল।
স্বভাবতই যন্ত্র এবং কর্মটি লুপ্তপ্রায় ,বিলুপ্ত নয়।
0 Comments